হজ্জের ১ম দিন (৮ই জিলহজ্জ) :
ইহরাম অবস্থায় মক্কা থেকে মিনায় রওয়ানা হওয়া → মিনায় অবস্থান (জোহর, আসর, মাগরিব, এশা) → মিনায় রাত্রি যাপন করা সুন্নত.
হজ্জের ২য় দিন (৯ই জিলহজ্জ) :
ফজরের নামাজ পড়ে আরাফাতের ময়দানে রওয়ানা হওয়া (সুন্নত) → আরাফাতে সূর্য হেলার পর হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত কিছুক্ষণ অবস্থান করা ফরজ। আরাফাতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত থাকা ওয়াজিব → সূর্যাস্তের পর মুজদালিফায় রওনা হওয়া → মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ এক আযান ও দুই ইকামতে আদায় করা (ওয়াজিব) → মুজদালিফায় অবস্থান করা (ওয়াজিব)। রাত্রি যাপন করা (সুন্নত)
হজ্জের ৩য় দিন (১০ই জিলহজ্জ) :
মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়া (সুন্নত) এবং মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া → মিনায় পৌঁছে প্রথমে একমাত্র বড় শয়তানকে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করা (ওয়াজিব) →তারপর কোরবানী করা (ওয়াজিব) → চুল মুণ্ডানো বা ছাঁটানো (ওয়াজিব) → তাওয়াফে জিয়ারতের জন্য মক্কায় যাওয়া (তাওয়াফ ফরজ) → তাওয়াফ শেষে মিনায় রাত্রি যাপন করা (সুন্নত)
হজ্জের ৪র্থ দিন ১১ই জিলহজ্জ :
কোরবানী, চুল মুণ্ডানো বা ছাঁটা ও তাওয়াফে জিয়ারত (ফরজ) না করে থাকলে আজ তাওয়াফ করুন → সূর্য হেলার পর থেকে সুবহে সাদেক পর্যন্ত সময়ে মিনায় শয়তানসমূহের স্তম্ভে ৭টি করে মোট ২১টি কংকর নিক্ষেপ করা (ওয়াজিব) → প্রথম ছোট শয়তানকে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করা । তারপর মেঝ শয়তানকে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করা। তারপর বড় শয়তানকে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করা । সর্বমোট ২১ টি কংকর নিক্ষেপ করা (ওয়াজিব) → মিনায় রাত্রি যাপন করা (সুন্নত)
হজ্জের ৫ম দিন ১২ই জিলহজ্জ :
কোরবানী, চুল মুণ্ডানো বা ছাঁটা ও তাওয়াফে জিয়ারত না করে থাকলে আজ সূর্যাস্তের পূর্বে অবশ্যই তাওয়াফ করে নিন → মিনার সূর্য হেলার পর হতে সুবহে সাদিক পর্যন্ত সময়ে শয়তানসমূহকে কংকর নিক্ষেপ করা (ওয়াজিব) → প্রথম ছোট শয়তানকে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করা। তারপর মেঝ শয়তানকে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করা। তারপর বড় শয়তানকে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করা → সূর্যাস্তের পূর্বে মক্কায় রওনা হওয়া (জায়েজ) → তবে ১৩ই জিলহজ্জ মিনায় শয়তানসমূহকে কংকর মেরে মক্কা আসা উত্তম। তবে দুপুরের পূর্বেও কংকর মারা জায়েজ , তবে মাকরূহ হবে।